স্টাফ রিপোটার।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আলমগীর হোসেন কবীরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে করা অভিযোগপত্র থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
গত ১৫ ডিসেম্বর জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ১০জন শিক্ষার্থী অভিযোগপত্র থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বেলাল হোসেন বরাবর লিখিত আবেদন করেছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
প্রতাহারপত্রে উল্লেখ্য করা হয়েছে,গত ২৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আলমগীর হোসেন কবীরের বিরুদ্ধে আপনার (ইউএনও) বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, কতিপয় ব্যক্তির পরামর্শে বিভ্রান্ত হয়ে তাদের স্বার্থ চিরিতার্থ করার জন্য তাদেরই লিখিত অভিযোগপত্রে না বুঝে আমাদের নাম স্বাক্ষর করেছি। যাহা কোন মতেই ঠিক হয়নি বলে এখন অনুতপ্ত হচ্ছি। এমতাবস্থায় আমাদের অভিভাবকদের সাথে পরামর্শেক্রমে সম্মানীত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিতঅভিযোগপত্র হতে স্বজ্ঞানে অভিযোগকারী হতে নিজের নাম ও অভিযোগ প্রত্যাহার করছি। একই সাথে অভিযোগপত্র থেকে শিক্ষার্থীদের নাম প্রত্যাহারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) অনুরোধও করেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তাদের ভুল পথে পরিচালিত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং করিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের দিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর করিয়ে অভিযোগ জমা দেয়। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, “স্যারের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তৃতীয় পক্ষ আমাদের ভুল বুঝিয়ে স্যারের বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং করিয়েছে। এমনকি আমাদের না জানিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছে। স্যার আমাদের সন্তানতুল্য দেখেন। আমরা এখন বুঝেছি, স্যার একজন ভালো মানুষ।”
আরেক শিক্ষার্থী বিপাশা বলেন, “একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে আমাদের ব্যবহার করেছে। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছি। আমরা চাই স্যার বিদ্যালয়ে থেকে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান।”
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন কবির বলেন, “কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে, এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে যারা শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার চেষ্টা করেছে, তাদের শাস্তির দাবি জানাই। বর্তমানে আমি নিরাপত্তার অভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। প্রশাসনের সহযোগিতা আশা করছি।”
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রত্যাহারের অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply