স্টাফ রিপোটার
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উওর কাশাদহ এলাকায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে মো. রানা মিয়া (৩৬) ও তার মা হাজেরা বেগম (৬৫) – কে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এসময় তাদের বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে একদল সন্ত্রাসী।
শণিবার(১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে রানার নিজ বাড়িতে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত রানা মিয়া পেশায় শিক্ষক এবং মৃত হুকুম আলীর ছেলে। তার মা হাজেরা বেগমও একই পরিবারের সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রানা মিয়া পৈতৃক বসতবাড়িতে একটি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে শিক্ষক হিসেবে আ:কুদ্দুস ও মো: আরিফুর ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তবে মাদ্রাসাটি লাভজনক হওয়ায় ওই দুই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এটি নিজেদের দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শনিবার সকালে আ:কুদ্দুস ও আরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসীদল বাড়ির গেট ভেঙে মাদ্রাসা ও রানার ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা মাদ্রাসার ফ্যান, লাইট, ব্রেঞ্চসহ আসবাবপত্র এবং রানার ঘর থেকে দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে।
খবর পেয়ে রানা বাড়িতে আসার পর হামলাকারীদের কাছে এসবের জবাব চাইলে তানভীর নামে এক যুবক ধারালো চাপাতি দিয়ে রানার মাথায় আঘাত করে। রানা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মা হাজেরা বেগম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে।
হাজেরা বেগমের আর্তচিৎকারে আশেপাশের নারীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রানা ও তার মা হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
তবে হাসপাতালেও দুই দফা হামলার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। প্রাণভয়ে রানা ও তার মাকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রানা মিয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার মাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। তারা আমার বাড়ি, স্কুল এবং ঘরের সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের জীবন আজ হুমকির মুখে।
তার মা হাজেরা বেগম বলেন, আমাদের বাঁচানোর জন্য কেউ নেই। বাড়িতে হামলা চালানোর পর এখন হাসপাতালে এসেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআরএম আল- মামুন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী পরিবার, দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply