মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ০৭ জুলাই।
মানিকগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৫ঘন্টায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে পথচারী নারী-পুরুষ এবং শিশুসহ ৫৫জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম সেওতা, বান্টুটিয়া চকপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, বান্টুরিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কুকুরের কামড়ে পথচারী ও ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তিরা আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,হঠাৎ করে রোবাবর সকালে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উৎপাত বেড়ে যায়।এক পর্যায়ে পাগলা কুকুর পথচারী, ভিক্ষুক, শিশুসহ যাকে সামনে পান, তাকে কামড়াতে থাকে।পরে কুকুরের কামড়ানোর বিষয়টি জানাজানি হলে, মানুষের মাঝে আতঙ্কে সৃষ্টি হয়। বর্তমানে কুকুরের কামড়ের আতঙ্কে সময় পার করছেন পৌরবাসীসহ শহরের আসা ব্যক্তিদের মধ্যে। শহরের পশ্চিম সেওতা এলাকার মো.ইউসুফ আলী জানান,দুপুরে বাজার করার জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে পিছন থেকে একটি কুকুর দৌড়ে আসে। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাটুর নিয়ে বেশ কয়েকটি কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। কুকুরে কামড়ে আত্মচি’কার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে দ্রæত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যায়।
পশ্চিম সেওতা কবরস্থানের পরিচ্ছন্নকর্মী ঘোটু মিয়া জানান,কবরস্থানের আগাছা পরিস্কার করার সময় একটা কুকুর এসে পায়ে কামড় দেয়। এসময় পা থেকে কুকুর মুখ ছাড়াতে গেলে হাতেও কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কবরস্থান মাদ্রাসার শিক্ষকেরা দ্রæত সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতাল থেকে কুকুরের কামড়রের জন্য দুটি ভ্যাকসিন দেয়া হয়।
ভিক্ষুক সালেহা বেগম জানান,সকালে সেওতা এলাকায় ভিক্ষা করার সময় কুকুরে কামড় দেয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভ্যাকসিন দেয়। এরপর কুকুরের কামড়ের ভয়ে ভিক্ষা করা বাদ দিয়ে বাড়িতে চলে যাই।
শহরের একাধিক ব্যক্তি জানান,শহরের ভিতরে সরকারি স্কুল-কলেজ ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেককে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য প্রতিদিন শহরে আসতে হয়। তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। সুতরাং সার্বিক বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে, একারনে প্রশাসন বা পৌরসভার দ্রুত পাগলা কুকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কারন কুকুরের কামড় খুব খারাপ।যাকে কামড় দেয়,সেই বুঝতে পারে কেমন লাগে।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতলের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো.সাইফুল ইসলাম জানান,কুকুরে কামড়ানো রোগীদের জন্য ভ্যাকসিনসহ চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা আছে। কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তিরা হাসপাতালে আসলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ মুঠফোনে জানান,কুকুরে কামড়ানোর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ্যজনক। কুকুরে কামড়ানোর বিষয়ে মানুষকে জচেতন করা হবে এবং বেওয়ারিশ কুকুরদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য,কুকুর কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবে।তা না হলে, কুকুরটির যদি জলাতঙ্ক থাকে, তাহলে কামড়ানোর ব্যক্তির জলাতঙ্ক হতে পারে। এমনকি ১০ বছর পর্যন্তও জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে। অথবা জলাতঙ্ক রোগের প্রকাশ পেতে পারে।
Leave a Reply