স্টাফ রিপোর্টার,২৯ অক্টোবর।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তার নামের প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।
এরপর প্রতিকার চেয়ে গত রোবাবর মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দাশড়া এলাকার হ্যালোবাইক চালক বিপ্লব হোসেন মিঠু। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হন।
অভিযোগপত্রে জানা যায়,রোববার দুপুরে হ্যালোবাইক চালক বিপ্লব হোসেন মিঠুর ব্যক্তিগত মোবাইলের হোয়াটসআপে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচয়ে ০১৭৮১৭৫৯০৮৬ এই নাম্বার থেকে এক ব্যক্তি ফোন করেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের ২লাখ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা জানান অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছবি সম্বলিত হোয়াটসআপ নাম্বারে ভুক্তভোগী বিপ্লব হোসেন মিঠুর ভিসা কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার চান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম ধাপে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার কথাও বলেন অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি তার পরিচিত একজনের ব্যাংক একাউন্ট ও ভিসা কার্ডের ছবি ওই হোয়াটসআপ নাম্বারে পাঠিয়ে দেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি আবারও ভুক্তভোগীর হোয়াসটআপে ফোনে করেন এবং ভুক্তভোগীর ফোনে আসার ভেরিফিকেশন কোড দিতে অনুরোধ করেন। পরে ভেরিফিকেশন কোডটি পেয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীর দেয়া ভিসা কার্ড থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচয়ে দেয়া ওই ব্যক্তি। টাকা তুলে নেয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচয়ের মোবাইল ০১৭৮১৭৫৯০৮৬ নাম্বারটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বিপ্লব হোসেন মিঠু জানান,সরকারীভাবে সহায়তার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের তালিকা করা হয় এবং সেই তালিকা অনুযায়ী আমার পরিচয়পত্র, চিকিৎসার কাগজপত্র ও ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন জায়গায় জমা দিয়েছি। এরপর রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচয়ে হোয়াটসআপে ফোন আসে এবং ওই ব্যক্তি আমার কাগজপত্রের বিষয়ে কথা বলেন। পরে ভিসা কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার চান এবং আমার এক পরিচিত বড় ভাইয়ের ভিসা কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট পাঠিয়ে দেই। এরপর মোবাইলে আসা পিনকোড ওই ব্যক্তিকে দেয়ার একটু পরই জানতে পারি,আমার ওই পরিচিত বড় ভাইয়ের ভিসা কার্ড থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে হয়েছে। এরপর ওই ব্যক্তি তার ফোন নাম্বার বন্ধ করে দেন। পরে এঘটনায় রোববার রাতে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করি।
তিনি আরও বলেন,অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে কথা বলায় তাকে কোন সন্দেহ করি নাই। কারন আমার আহত ও পরিচয়পত্রের সব তথ্য ওই ব্যক্তির সঠিকভাবে বলেছেন। টাকা তুলে নেয়ার পর পরিচিতদের সাথে আলোচনা করে বুঝতে পারলাম, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। যারাই সরকারি মন্ত্রণালয় ও আহতদের পরিচয়ে প্রতারণা করেছে, আমি তাদের সঠিক বিচার চাই।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম আমান উল্লাহ জানান,বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে এসব ক্ষেত্রে জেনগণকে আরো সতর্ক থাকতে হবে।
Leave a Reply