মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ০২ অক্টোবর।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে থানার ভিতরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল রাখতে না দেওয়ায় নারীসহ দুই পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় ঘিওর থানার ভিতরে এই ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবলু ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসারসহ তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে।

ঘিওর থানার ওসি কহিনুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসারের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেলের বহর থানার ভিতরে ঢুকে এবং থানার ভিতরে মোটরসাইকেল রাখতে চায়। তখন থানায় দায়িত্বে থাকা নারী পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) থানার ভিতরে মোটরসাইকেল রাখতে নিধেষ করলে, নারী পুলিশ কনস্টেবলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার। এরপর ওই নারী পুলিশ কনস্টেবল থানার ভিতরে গিয়ে টিউটি অফিসার এ.এস.আই রফিককে বিষয়টি জানান এবং টিউটি অফিসার রফিক বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন এবং থানার ভিতরে মোটরসাইকেল না রাখতে অনুরোধ করেন। তখন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার টিউটি অফিসার রফিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এরপর ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে টিউটি অফিসার রফিককে লাঞ্ছিত করেন। তারপর থানার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার তাদের নেতাকমীদের নিয়ে থানার ভিতর থেকে ঘিওর মাঠের মেলায় চলে যান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা আরো জানান, থানার ভিতরে ঝামেলা করার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘিওর মাঠের মেলায় চলে যান এবং মেলার স্টেজে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে থাকেন। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, তাদের অনুরোধ করার হয়। কিন্তু সেখানেও তারা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্ছিত করেন।

তবে এবিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসারের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে ঘিওর থানার ওসি কহিনুর ইসলাম জানান, ঘটনাটি সত্য। বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের পর আলোচনা করে, উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।