ডেস্ক রিপোর্ট
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনে কলার ঝোপে পড়ে থাকতে দেখা গেছে সাধারণ রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ—এ্যামলোডিপিন ট্যাবলেট।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে এ চিত্র দেখে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, দিনের পর দিন হাসপাতালে গিয়েও প্রয়োজনীয় ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও, ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে এভাবে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি হতবাক করার মতো। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “বিগত সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক কর্মচারী এখনো কর্মরত আছেন। তারা হয়তো বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলতেই বিনামূল্যের ওষুধ বিতরণ না করে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ করে ফেলে দিয়েছে।”
অন্যদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিসিয়াল সূত্র বলছে, বরাদ্দকৃত ওষুধ যদি কোনো উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাহিদার তুলনায় বেশি থাকে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তিন থেকে ছয় মাস আগেই লিখিতভাবে তা জানানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিস্ট এমন কোনো চিঠি দেননি বলে দাবি করেছে তারা। বরং এই ওষুধ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুপলব্ধ, ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কথাও ওঠে না।

শিবালয় ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট মো. আবুল কাশেম বলেন, “কিছু ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কিছু এখনও কয়েকদিন বাকি। রোগীদের ক্ষতির আশঙ্কায় এসব ওষুধ ফেলে দেওয়া হয়েছে। চাহিদা ছিল ২০–২২ হাজার পিস, বরাদ্দ আসে ৫০ হাজার, তাই অতিরিক্ত ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।”

এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, “দীর্ঘদিন আগের বরাদ্দ হওয়ায় ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তবে নতুন ওষুধের সরবরাহ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কারো গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply