স্টাফ রিপোর্টার, ৩০ সেপ্টেম্বর।
মধ্যযুগের মানবতাবিরোধী জঘন্য অপকর্ম দাসপ্রথার আধুনিক সংস্করণ ‘মানবপাচার’ বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এবং মানবপাচার রোধে মানিকগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সাথে সচেতনতামূলক স্কুল ক্যাম্পেইন করেছে বেসরকারি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার দুপুরে সুইজারল্যান্ড এম্বাসির অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রেফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের আয়োজনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পেইনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে মানব পাচার সচেতনতা তৈরিতে “আগুন পাখি” শিরোনামে প্রামাণ্য চিত্র প্রর্শনি করা হয় এবং পরবর্তীতে এই প্রামাণ্য চিত্র থেকে একটি বিশেষ কুইজের আয়োজন করা হয়। কুইজে পুর্ণ নম্বর পাওয়া ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে আয়োজকরা।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো.কামরুল হাসান বলেন, মানিকগঞ্জ বরাবরই একটি অভিবাসন প্রবণ এলাকা। এই অঞ্চলের মানুষ অন্য যেকোন পেশার চেয়ে অভিবাসনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বিপুল পরিমান মানুষ মধ্য প্রাচ্চ্যে যায়। প্রতি বছর এ জেলা থেকে বিদেশে যায় এবং বেশিরভাগই অসচেতনতার অভাবে প্রতারণার শিকার হয়। এরমধ্যে প্রচুর পাচারের ঘটনাও থাকে তা অনেকেরই অজানা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ক্যাম্পেইন আয়োজনের ফলে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে এবং তারা তাদের পরিবার ও আশেপাশের মানুষদের সচেতন করতে পারবে। নিজেরাও ভবিষ্যতে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে পারবে।
রেফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের প্রোগ্রাম অফিসার গোলাম রব্বানী বলেন, মানিকগঞ্জ সারাদেশের মধ্যে মানবপাচারের অন্যতম উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত। এখানে একাধিক মানব পাচারকারী চক্র সক্রিয়। ফলে এই জেলায় প্রচুর মানব পাচারের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে। আমরা আমাদের প্রকল্প থেকে মুলত মানব পাচার সচেতনতা ও প্রতিরোধে কাজ করছি। জেলায় মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা তৈরী ও মানবপাচার প্রতিরোধে আমরা সাংস্কৃতিক বিভিন্ন টুলস নিয়ে সামনে আরও ব্যাপক আকারে কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি এই স্কুল ক্যাম্পেইন কর্মসুচিও চলমান থাকবে।
ক্যাম্পেইনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের সাইফুল হোসেন ও উজ্জল মিয়া, বেতিলা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শেফালি আক্তার, সহকারি শিক্ষক ও মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকসহ অন্যরা।
Leave a Reply