মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৪ সেপ্টেম্বর।
ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টকর্মী মোহাম্মদ তানিম হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল মহানগর বিমানবন্দর থানার সাতমাইল বাজার এলাকা থেকে র্যাব-৮ ও র্যাব-৪ দলের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ৩৫ বছরের সোহেল রানা ঢাকার আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকার হানিফ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় গার্মেন্টকর্মী। নিহত তানিম এবং দন্ডিত সোহেল রানা বন্ধু ছিলেন।
র্যাব জানান,পাওনা টাকাকে কেন্দ্র গার্মেন্টকর্মী মোহাম্মদ তানিম ও সোহেল রানার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছি। ওই ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ২২ জুলাই ঢাকা মহানগরের কাফরুল থানার পলাশপুর এলাকায় এসে মোহাম্মদ তানিমকে পাওনা টাকা নিয়ে বলেন সোহেল রানা। পাওনা টাকা নিতে পলাশপুর এলাকায় আসলে সোহেল রানা ও সহযোগী ফরহাদ, আশিক ও নজরুল মোহাম্মদ তানিমকে অপহরণ করে এবং মোহাম্মদ তানিমের মাকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেন আসামীরা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় মোহাম্মদ তানিমকে হত্যা করে এবং আশুলিয়ার খাগান এলাকায় মার লাশ ফেলে চলে যায় সোহেল রানাসহ তার সহযোগীরা। পরে এঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর বিচারক সোহেল রানাকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
র্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান,দন্ডিত সোহেল রানা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় এবং গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় আত্মোগোপনে ছিলেন। গ্রেফতারের পর আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পেশায় দুজনেই গার্মেন্টকর্মী ছিলেন। সেসুবাধে দুইজনের বন্ধু ছিলেন। পাওনা টাকার পরিমান ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা হতে পারে বলেও র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান।
Leave a Reply